সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা। সবজির ভান্ডার হিসাবে বিখ্যাত জেলা বলা হয়ে থাকে এ জেলাকে। চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ জেলার কৃষকরা। বর্তমানে তারা ক্ষেতে চারা রোপণ ও গাছে আসা সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত, আবার কেউ সবজি বাজারে বিক্রি করছেন।
গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতবছর গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৮২৫ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছিল ৮৯৪৭ হেক্টর। চলতি বছর জেলায় সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০৬০ হেক্টর। ইতি মধ্যেই আগাম অর্জিত হয়েছে ২০০ হেক্টর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। তারা কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে জমিতে চারা রোপণ, পরিচর্যা, আগাছা পরিষ্কার ও পানি দেওয়াসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। ভালো দাম পেতে আগাম শাক-সবজির চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। তাই তো এবছর শীত শুরুর আগেই ফুলকপি, মুলা, বাঁধাকপি, পটল, শিম, টমেটো, করোলা, বেগুন ও লাউসহ অন্য শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা।
এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে শাক-সবজি যাচ্ছে পাশের জেলাগুলোতে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কৃষি কাজে সহযোগিতা করছেন। জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন এ জেলায় গোল আলু, মিষ্টি আলু, ডাল জাতীয় ফসল বৃদ্ধির কারণে সবজি চাষে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আগাম শাক-সবজি উৎপাদনে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বিধায় কৃষিবিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শাক-সবজি চাষে কি ভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পাশে আছে।